নীলাঞ্জনাঃ
বাংলাদেশে যে কত নান্দনিক দৃশ্য আছে না ঘুরলে বা না দেখলে বোঝা যাবেনা। আজকে আমার এ লেখায় সুন্দর সুন্দর নান্দনিক জমিদার বাড়ির স্থাপত্য নিয়ে লিখব। তাও আবার শত বছর আগের তৈরি জমিদার বাড়িগুলো। ওই সময়েও স্থাপত্য শিল্পে কত সমৃদ্ধ ছিল বাংলাদেশ তা ভাবতে অবাক লাগে কেননা বর্তমানে এখন এ ধরনের স্থাপত্য কোথায় তৈরী হয় কিনা জানা নেই! আজকে সাতটি জমিদার বাড়ি নিয়ে লিখেছেন... নীলাঞ্জনা।
শশী লজ, ময়মনসিংহঃ
দেশের বিখ্যাত ঐতিহাসিক এক রাজবাড়ি হলো শশী লজ। মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের রাজবাড়িটি শশী লজ নামে পরিচিত। শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত অন্যতম নিদর্শন ময়মনসিংহের রাজবাড়ি বলেও খ্যাত। এটি ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরেই অবস্থিত শশী লজ। ১৯৫২ সাল থেকে শশী লজ ব্যবহৃত হচ্ছে নারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে। সূর্যকান্ত আচার্য ৯ একর জমিতে দ্বিতল ভবন বাড়িটি নির্মাণ করেন। সূর্যকান্ত দত্তক নিয়েছিলেন শশীকান্তকে। সূর্যকান্ত তাঁর ছেলের নামানুসারে নাম রেখেছিলেন শশী লজ। ১৯ শতকে বানানো এই বাড়ি ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ হলে ১৯১১ সালের দিকে সূর্যকান্ত সেটিকে আবার নির্মাণ করেন। এই বাড়িতে আছে ১৬ টি গম্বুজ। রাজবাড়ির প্রায় প্রতিটি ঘরেই আছে একই রকমের ঝাড়বাতি। রযেছে জলসাঘর ও বড় স্নানঘর। বাগানের মাঝখানেই দেখতে পাবেন শ্বেতপাথরের ফোয়ারা। সেখানেই আছে গ্রিক দেবী ভেনাসের স্নানরত মর্মর মূর্তি।