নীলাঞ্জনাঃ
বাংলাদেশে যে কত নান্দনিক দৃশ্য আছে না ঘুরলে বা না দেখলে বোঝা যাবেনা। আজকে আমার এ লেখায় সুন্দর সুন্দর নান্দনিক জমিদার বাড়ির স্থাপত্য নিয়ে লিখব। তাও আবার শত বছর আগের তৈরি জমিদার বাড়িগুলো। ওই সময়েও স্থাপত্য শিল্পে কত সমৃদ্ধ ছিল বাংলাদেশ তা ভাবতে অবাক লাগে কেননা বর্তমানে এখন এ ধরনের স্থাপত্য কোথায় তৈরী হয় কিনা জানা নেই! আজকে সাতটি জমিদার বাড়ি নিয়ে লিখেছেন... নীলাঞ্জনা।
ধনবাড়ী জমিদার বাড়ি বা নওয়াব প্যালেসঃ
টাঙ্গাইল সদর থেকে সাটুরিয়া পার হয়ে পাকুরিয়া বাজারে নেমে অল্প হাঁটলেই জমিদার বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া যাবে। চাকচিক্য এবং নান্দনিক টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী জমিদার বাড়ি বা নওয়াব প্যালেস বর্তমানে তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এ ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বর্তমানে রিসোর্ট হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এখানে আগত অতিথিরা নবাবদের তৈজসপত্র ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। প্রায় ১৮০০ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন খেতাবপ্রাপ্ত জমিদার খান বাহাদুর সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরী। বংশাই ও বৈরান নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই প্রাচীন জমিদার বাড়িটি অপূর্ব স্থাপত্যশৈলী এবং কারুকার্যে সত্যিই মনোরম এবং মনোমুগ্ধকর। তবে রিসোর্ট তৈরির পর এটি আরো চাকচিক্য এবং আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। চার গম্বুজবিশিষ্ট অপূর্ব মোগল স্থাপত্যরীতিতে তৈরি এই শতাব্দী প্রাচীন নবাব প্যালেস। পুরো নবাব প্যালেসটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রাসাদটি দক্ষিণমুখী এবং দীর্ঘ বারান্দা সংবলিত। ভবনের পূর্বদিকে বড় একটি তোরণ রয়েছে। প্রাচীরঘেরা চত্বর অংশে আবাসিক ভবন দুটি ছাড়া আরো আছে ফুলের বাগান, চিড়িয়াখানা, বৈঠকখানা, নায়েব ঘর, কাচারি ঘর। বারান্দাতে শোভা পাচ্ছে মোগল আমলের নবাবী সামগ্রী, মোগল আমলের আসবাবপত্র সবাইকে মুগ্ধ করবে। প্যালেসটির পাশেই রয়েছে ৩০ বিঘার বিশালাকার দিঘি। সেখানে দর্শনার্থীদের ঘোরার জন্য রয়েছে দুটি সাম্পান।